তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি

পাঠ ১৫ : নিরাপত্তা বিষয়ক ধারণা

অষ্টম শ্রেণি (মাধ্যমিক) - তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি - তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির নিরাপদ ও নৈতিক ব্যবহার | NCTB BOOK

ভোমরা নিশ্চরই এতদিনে জেনে গেছ প্রযুক্তি আমাদের দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে একটা রাষ্ট্রের পরিচালনা বা নিরাপত্তার প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জীবনের যেকোনো ক্ষেত্রকে আরো সুন্দর, আরো সহজ এবং আরো দক্ষভাবে পরিচালনা করতে হলে আমাদের সাহায্য নিতে হবে। নেটওয়ার্কের কারণে এখন কেউই আর ान নর, এক অর্থে সবাই সবার সাথে যুক্ত। এক ক দিয়ে এটি একটি অসাধারণ ব্যাপার, অন্যদিক দিয়ে এটি নতুন এক ধরণের ঝুঁকি তৈরি করেছে।

মেটওয়ার্ক দিয়ে যেহেতু সবাই সবার সাথে যুক্ত, তাই কিছু অসাধু মানুষ এই নেটওয়ার্কের ভেতর দিয়ে যেখানে তার বাবার কথা নয় সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করে। যে তথ্যগুলো কোনো কারণে গোপন রাখা হয়েছে, সেগুলো দেখার চেষ্টা করে। যারা নেটওয়ার্ক তৈরি করিয়েছেন, তারা সবসময়ই চেষ্টা করেন কেউ কেন সেটি করতে না পারে। প্রত্যেকটি কম্পিউটার বা নেটওয়ার্কেরই নিজৰ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকে, কেউ যেন সেই না ঢুকদ্ধে না পারে তার চেষ্টা । এ অদৃশ্য দেখানকে ফায়ারওয়াল বলা হয়। তারপরও প্রায় সব সময়েই অসাধু মানুষেরা অন্যের এলাকায় প্রবেশ করে তার জন্য দেখে, সরিয়ে নেয় কিংবা অনেক সময় নষ্ট করে দেয়। এ পদ্ধতিকে বলে হ্যাকিং। যারা হ্যাকিং করে তাদেরকে বলে হ্যাকার। একজন হ্যাকার ২০০০ गान ল, ইরা, আমাজন, ই-বে, সিএনএনের মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট হ্যাক করে একশ কোটি ডলারের বেশি ক্ষতি করে ফেলেছিল।

নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নেটওয়ার্ক সংযোগের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীর জন্য প্রদত্ত নিদির্ষ্ট পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়। পালগুৱাজটি এমনভাবে দেওয়া হয় কেউ যেন সেটি হে অনুমান করতে না পারে। কিন্তু পাসওয়ার্ড বের করে ফেলার জন্য বিশেষ কম্পিউটার বা বিশেষ গানট তৈরি হয়েছে। এগুলো সারাক্ষণই সম্পন্য সকল পাসওয়ার্ড দিয়ে চেষ্টা করতে থাকে, যতক্ষণ না সঠিক পাসওয়ার্ডটি তার হয়। সেজন্য আজকাল প্রায় সবক্ষেত্রেই সঠিক পাসওয়ার্ড দেওয়ার পরও একজনকে ঢুকে দেওয়া হয় না। একটি বিশেষ লেখা পড়ে সেটি টাইপ করে দিতে হয়। এক মানুৰ যেটি সহজেই বুঝতে পারে কিন্তু একটি যন্ত্র বা রোবট তা বুঝতে পারে না। মানুষ এবং যন্ত্রকে আলাদা করার এই পদ্ধতিকে বলা হয় captcha |

যতই দিন যাচ্ছে আমরা ততই প্রযুক্তি এবং নেটওয়ার্কের উপর বেশি নির্ভর করতে শুরু করেছি। কোনো কারণে যদি কিছুক্ষণের জন্যও এই নেটওয়ার্ক অল্প করে বার, পৃথিবীতে এক ধরনের বিপর্যয় নেমে আসবে। ফলা যেতে পারে সারা পৃথিবী এক ধরনের বিবরণহীন অবস্থার চলে যাবে। সে কারণে এ নেটওয়ার্কগুলো সচল রাখার জন্য প্ররোজনীর সব কম ব্যবস্থা করা হয়। বড় বড় তথ্যভানরগুলোকে বলা হর চেষ্টা সেন্টার। সব রকম যান্ত্রিক গোলযোগ, আগুন, ভূমিকম্প বা অপরাধীদের হামলা থেকে এগুলো রক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।

ইন্টারনেটের সম্পূর্ণ ভিন্ন এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে, যেটি সম্পর্কে অনেকেরই ভালো ধারণা নেই। আজকাল সবরকম তথ্যের জন্য আমরা ইন্টারনেটের উপর নির্ভর করি কিন্তু সকল তথ্য যে সঠিক সেটি সত্যি নয়।

অনেকে অনিচ্ছাকৃতভাবে বা অনেকে ইচ্ছা করে ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা তথ্য প্রচার করার অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে। কাজেই ইন্টারনেট থেকে তথ্য নেওয়ার বেলায় সব সময়ই নিজের জ্ঞান-বুদ্ধি ব্যবহার করে যাচাই করে নিতে হয়।

দলগত কাজ : হঠাৎ একদিন সারা পৃথিবীর নেটওয়ার্ক অচল হয়ে গেলে পৃথিবীতে কী ধরনের বিপর্যয় নেমে আসবে কল্পনা করে তা বর্ণনা কর।

নতুন শিখলাম : ফায়ারওয়াল, হ্যাকিং, হ্যাকার, captcha । 

Content added By
Promotion